
প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক পর্যায়ে এবং সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ে আরো সাড়ে ৯৩ হাজার শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেবে সরকার।
আগামী জানুয়ারির আগেই এসব শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ পাবেন বলে জানা গেছে। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগে হিসাব নিকাশ শুরু করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়৷
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আগামী বছরের শুরু থেকেই সারাদেশের সাধারণ ধারার সব সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে বৃত্তিমূলক ও প্রাক-বৃত্তিমূলক কোর্স চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ১৪ হাজারের বেশি সরকারি ও এমপিওভুক্ত স্কুলে এ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য আরও সাড়ে ৫৭ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী বছরের শুরু থেকেই সব সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে প্রাক বৃত্তিমূলক কোর্স এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে বৃত্তিমূলক কোর্স চালু করা হচ্ছে।
প্রায় ৬৮০ টি সরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও ১৩ হাজার ২০০ টি এমপিওভুক্ত স্কুলের এসব শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ করা হবে।
১৪ হাজারের বেশি স্কুলে ২ জন করে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর ও দুইজন করে ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে।
সে হিসেবে ২৮ হাজার সাতশ’র বেশি ট্রেড ইন্সট্রাক্টর এবং ২৮ হাজার সাতশর মতো ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট আগামী বছর জানুয়ারি মাসের আগেই নিয়োগ দেয়া হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসব পদে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করার বিষয়টি নিয়ে গত ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত এক সভায় আলোচনা হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিকের ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অক্টোবরে প্রকাশ হতে পারে বলে জানা গেছে। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৩০০ জন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করতে কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসছে। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও ১০ হাজার শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
এর ফলে এবার প্রার্থী আবেদন করার পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেটিক ব্যক্তিগত ও একাডেমিক তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। এতে করে আবেদন যাচাই-বাছাই করতে সময়ক্ষেপণ হবে না।
শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক পদ সৃজন করা হয়েছে। এসব পদে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা অনেক আগে অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছি।
পাশাপাশি সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলো চিহ্নিত করে সেসব পদে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে কাজ শুরু করেছে ডিপিই।